
রানওয়ে থেকে ওড়ার পরেই হঠাৎ ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। কী ভাবে ঘটল গোটা ঘটনা, হাতে এল তার স্যাটেলাইট ছবি। রানওয়ে থেকে ওড়ার পরেই হঠাৎ ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগার ঘটনাটি ঘটে। কী ভাবে ঘটল গোটা ঘটনা, হাতে এল তার স্যাটেলাইট ছবি। গুজরাতে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমানটি

অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানের লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর এলাকা



স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি ট্যাক্সিওয়ে থেকে রানওয়েতে আসে। উড়তে শুরু করার পর হঠাৎই বিমানটি বাঁ দিকে বাঁকতে শুরু করে। এর পরেই সেটির পিছনের দিকটি নীচের দিকে নেমে গিয়ে বিমানবন্দর চত্বরের ভিতরে ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার’ নামক একটি বহুতলের কাছে একটি হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে।প্রসঙ্গত, ট্যাক্সিওয়ে হল বিমানবন্দরের টার্মিনাল এবং রানওয়ের সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা। অবতরণ করার পর কোনও বিমান রানওয়ে থেকে ট্যাক্সিওয়ে ধরেই টার্মিনালে পৌঁছোয়। সেখানেই যাত্রীরা বিমান থেকে নামেন |




আপাতত দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে অহমদাবাদ বিমানবন্দরেও। চলছে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমানটি ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। ফলে সেটি বেশি উচ্চতায় পৌঁছোতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অহমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বলেন, “মেঘানিনগরে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি কোন ধরনের বিমান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।” ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডুর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নায়ডু জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজের উপর নজর রাখতে তিনি শীঘ্রই অহমদাবাদ পৌঁছোচ্ছেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূূপেন্দ্র পটেলকে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুজরাত সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। আমি প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের চিকিৎসা করারও নির্দেশ দিয়েছি।” গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রিন করিডর করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, ‘‘অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় আমি গভীর ভাবে শোকহত
