কিডনি ভাল রাখার জন্য দরকার বিশেষ যত্ন। দরকার সুস্থ জীবনযাপন, পর্যাপ্ত জলপান, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পরিচ্ছন্ন খাওয়াদাওয়া। এর পাশাপাশি কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে কয়েকটি পানীয়ও।

সারা শরীরে প্রতি দিন যাওয়া নানা দূষণকে ছেঁকে বার করে দেওয়ার কাজ করে কিডনি। তাতে ভাল থাকে শরীর। ভাল থাকে শরীর সুস্থ রাখার সমস্ত জৈবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কিডনি নিজে ভাল থাকে কী ভাবে? কিডনির যত্ন নিতে চাইলে কিছু নিয়ম মানা দরকার। সুস্থ জীবনযাপন, পর্যাপ্ত জলপানের অভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পরিচ্ছন্ন খাওয়াদাওয়া এবং তার পাশাপাশি কিডনিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করতে পারে কয়েকটি পানীয়ও। পুষ্টিবিদেরা তেমনই কিছু পানীয়ের সন্ধান দিলেন |
১। থোড়ের রস
তারকা পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো কিডনি ভাল রাখার একটি টোটকা দিয়েছেন। রায়ান জানাচ্ছেন, প্রতি দিন ভোরে খালি পেটে ১০০ মিলিলিটারের মতো থোড়ের রস খেলে তা যেমন কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা কমাবে, তেমনই মূত্রনালি পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমূক্ত রাখতেও সাহায্য করবে। তবে একই সঙ্গে রায়ান বলছেন, হঠাৎ এক দিন থোড়ের রস খেতে শুরু না করে এই পানীয় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে এক বার কথা বলে নেওয়া ভাল।
২। আদা-হলুদের চা
পুষ্টিবিদ সুমন শেঠি জানাচ্ছেন, কিডনিকে দূষণমুক্ত করার জন্য সবচেয়ে ভাল পানীয় হল আদার রস এবং হলুদ মেশানো চা। আদায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। হলুদে রয়েছে কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। সুমন বলছেন, ‘‘প্রতি দিন সকালে খালি পেটে এই চা এক কাপ খেতে পারলে তা কিডনিকে প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে বাঁচানোর পাশপাশি সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ থেকেও মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’’
৩। লেবু-শসা-ধনেপাতার জল
পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর কিডনি ভাল রাখার জন্য খেতে বলছেন ধনেপাতা, লেবু আর শসার ডিটক্স ওয়াটার। তিনি বলছেন, ‘‘প্রথমে দু’ কাপ জলে আধ আঁটি ধনেপাতা কুচিয়ে ফুটিয়ে নিন। এ বার ওই জলটি ঠান্ডা করে তাতে লেবুর রস এবং কুচোনো শসা মিশিয়ে কাচের বোতলে রেখে দিন।’’ এই জলটি দিনে তিন-চার বার খেলে তা কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে।
তবে এ ছাড়াও কিডনি দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে কিছু বিশেষ চা। এমনই বলছে গবেষণা। এই সব চায়ের মধ্যে অন্যতম হল গ্রিন টি। তা ছাড়া সাধারণ চা পাতা দিয়ে তৈরি লাল চা-ও কিডনির জন্য ভাল। এর পাশাপাশি, হাইড্রানজিয়া টি এবং সামবং-ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে জানাচ্ছে ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্ক অ্যান্ড করোনারি আর্টারি রিস্ক ডেভেলপমেন্টের করা ২০২৩ সালের একটি গবেষণা।
