আরজি কর কাণ্ডে প্রবল চাপে রয়েছে মমতা সরকার। ঘরে, বাইরে তুমুল সমালোচিত হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই আবহে ২৮ আগস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন একটি বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার সেই নিয়েই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি।
- ৩ সেপ্টেম্বর বিরাট পদক্ষেপের পথে মমতা (Mamata Banerjee)!
মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় বর্তমানে উত্তাল বাংলা। এর মাঝেই গতকাল মমতা ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশের কথা ঘোষণা করেন। শীঘ্রই রাজ্য বিধানসভায় এই বিল পেশ করা হবে বলে জানান তিনি। এবার এই নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট! একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গতকালই মন্ত্রীসভার তরফ থেকে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) এই বিল আনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় এই বিল পেশ করা হবে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
- রাজ্যবাসীর জন্য বিরাট সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর!
আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন তথা ৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ করা হবে বলে দাবি করা হয়েছে ওই মিডিয়া রিপোর্টে। ইতিমধ্যেই আইনের ড্রাফট বানানোর নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যেমনটা ঘোষণা করেছিলেন আপাতত সেইভাবেই সবটা এগোচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর ঘটনার পর থেকেই রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। সন্দীপ ঘোষকে কেন অপসারণ করা হচ্ছে না? সরকার কি দোষীদের আড়াল করতে চাইছে? এমন নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের একাংশের মনে। অনেকক্ষেত্রে আবার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও উঠছে। এই আবহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ধর্ষণ বিরোধী বিল আনার কথা ঘোষণা করেন মমতা। এই বিল রাজ্য সরকারের ‘তুরুপের তাস’ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
গতকাল মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘ন্যায় সংহিতায় ধর্ষকদের জন্য ১০ বছর, ১২ বছরের ধাপ আছে। এর কী দরকার ছিল! রাজ্যের হাতে ক্ষমতা নেই। রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে আমি ৭ দিনে করে দেব। ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি’। এরপরেই ঘোষণা করেন, আগামী সপ্তাহে অধ্যক্ষকে বলে বিধানসভার অধিবেশন ডাকব। রাজ্য বিধানসভা থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির বিল পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে।